এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Mozammel Hoque Momin

Mozammel Hoque Momin

শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

কিছু প্রশ্ন ও তার সম্ভাব্য উত্তরের চেস্টা ১



কিছু প্রশ্ন ও তার সম্ভাব্য উত্তরের চেস্টা ১ 

১.Blue বিল্ডিং কি?
Blue বিল্ডিং মুলত একটি ইন্জিনিয়ারিং ট্রাম। অর্থা কোন বিল্ডিং এর বাসিন্দাদের যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা যদি বিল্ডিং এর কার্যকাল সময়ে সবসময় পুরোন করতে পারে সেই বিল্ডিং কে ব্লু বিল্ডিং বলে । সহজ ভাষায় আদর্শ বিল্ডিং হিসাবে বিবেচিত সকল বিল্ডিং যা এর ভিতরে বসবাসকারীদের সকল চাহিদা পুরোন করে ।

২.কলামে লোড কোথায় কাজ করে? কলামের এক্সেল লোড কি
কলামে মুলত কম্প্রেশন লোড প্রধান লোড হিসাবে কাজ করে এর উলম্ব অক্ষ বরাবর। যদি কোন লোড কলামের উলম্ব অক্ষের সমান্তুরাল ভাবে কাজ করে তখন সে অবস্তুাকে ইসেন্ট্রিক লোডিং বলে । এ ক্ষেত্রে কম্প্রেশন এর পাশাপশি বেন্ডিং লোড ও বিবেচনা করতে হয়। আরেক ধরনের বাকলিং লোড কলামে কাজ করে যা কলামের হরিজোন্টাল অক্ষ বরাবর কাজ করে ।
৩.ফাইবার কি? ক্যান্টিলিভার বিমের লোড কোন ফাইবার বরাবর কাজ করে?
কলামের ক্রস সেকশন কে এর ডেপথ বরাবর অর্থা নিউট্রাল এক্সসিসের সমান্তরাল করে অসংখ্য ফালি তে কাটা হলে প্রত্যেক ফালিকে বীমের ফাইবার বলে। স্বাভাবিক বীমের নিউট্রাল এক্সসিসের সর্ব দুরের ফাইবারে সর্বোচ্চ প্রতিরোধী বল কাজ করে। টপ ফাইবারে কম্প্রেশন লোড ও বটম ফাইবারে টেনশন লোড কাজ করে । আর ক্যান্টিলিভার বীমে উল্টো অর্থা টপ ফাইবারে টেনশন আর বটমে কম্প্রেশন কাজ করে ।
৪.কলাম তার উপর কম্প্রেশন লোডের কতটুকু টেনশন নিতে পারে?
কলাম মুলত বানানো হয় কংক্রিট দিয়ে। তাই স্ট্রেন্থ মুলত কংক্রিটের হিসাব করতে হবে । আমরা জানি কংক্রিটে টান শক্তি চাপ শক্তির অনেক কম। কংক্রিট চাপ শক্তির 15-20% এর সমপরিমাণ টান শক্তি হিসাবে বিবেচনা করতে হবে ।
৫.ফাইন এগ্রিগেটের ম্যাক্সিমাম সাইজ কত? 
#এগ্রিগেটের আকার ASTM অনুযায়ী মুলত ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড চালুনি দ্বারা পরিমাপ করা হয়। এই সকল চালুনি দারা এগ্রিগেটের এফ এম নির্নয় করা হয়। 75mm- 4.75 mm পর্যন্ত coarse Aggregate এবং 4.75 mm - 0.15mm পর্যন্ত Fine Aggregate হিসাবে বিবেচনা করে এর এফ এম নির্নয় করা হয়।
৬.বীমে টেনশন কোথায় বেশী হয়?
একটু আগেই বলেছি সাধারন ভাবে স্থাপিত বীমে টপ ফাইবারে টান বল ফাইবার বরাবর কাজ করে। আর বটম ফাইবারে কম্প্রেশন বল ফাইবার বরাবর কাজ করবে । ক্যান্টিলিভার বীমে উপরে টেনশন নিচে কম্প্রেশন কাজ করে ।উদাহরন হিসাবে বরা যায় আপনি একটি আখ বা কুশাল হাতে নিয়ে খাচ্ছেন। এমন সময় আপনার বন্ধুকে ভেং্গে কিছু অংশ দিবেন। ভাংগার সময় আপনি আখ বা কুশাল কে বাকালেন। এই অবস্থায় টপের দিকের অংশ দেখবেন ছিড়ে গেছে আর নিচের দিকে মচকে গেছে। কারন উপরে টেনশন আর নিচে কম্প্রেশন কাজ করছে ।
৭. শিয়ার কি?
# শিয়ার জিনিসটা অনেক মজার। ধরুন একটা জিনিসকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করব। আমাদের উদ্দেশ্যে থাকবে আলাদা করা । আমরা দুই ভাবে আলাদা করতে পারি । ছুড়ি দিয়ে অথবা টান দিয়ে ছিড়ে । আমরা যখন টেনে ছিড়ে ফেলতে চাই কোন কাগজ কে তখন কি করি দুই হাত দিয়ে কাগজ টাকে ধরে দুই দিকে টান দেই । তাহলেই কাগজ ছিড়ে যায় । শিয়ার জিনিসটা এই ছেড়ার সাথে সম্পর্কিত। অর্থা কোন কিছু ছিড়ে ফেলতে যে বল প্রয়োগ করা হয় তাকেই শিয়ার বল বলে। আরো একটু বিস্তারিত বলি । আমরা সকালে পরেটা খাই ।পরেটা খাওয়ার সময় ছোট টুকরে ভাগ করে ফেলি। ভাগ করার সময়ও আমরা দুই আংগুল দিয়ে দুই দিকে টান দিই। তার মানে আমরা শিয়ার বল প্রয়োগ করছি এবং ছিড়ে ফেলছি । আবার আমরা কাপড় কাটতে কেচি ব্যবহার করি। এই কেচিতে এমন মেকানিজম থাকে যাতে কাগজ কাপড়ের উপড় দুই দিকে প্রচন্ড বল প্রয়োগ করে যাতে বল প্রয়োগকৃত অংশ বরাবর ছেড়া বল কাজ করে। আর তখন কাগজ বা কাপড় ছিড়ে যায়। এখন শিয়ার পরিমাপ করা সম্পকে বলি । দু ভাবে পরিমাপ করা যায় । শিয়ার বল হিসাবে অথবা শিয়ার পীড়ন হিসাবে। শিয়ার বল আগেও বলছি কোন কিছু ছেড়ার জন্য যে বল পেয়োগ করবেন সেই বলটাই শিয়ার বল। এখানে একটি কাগজ ছিড়তে যে বল লাগবে সেটিই সর্বোচ্চ শিয়ার বল । যেটা বীমের ডিজাইনে লাগে। এবার অাসি শিয়ার পীড়নে আপনি যখন বল প্রয়োগ করবেন তখন কাগজের অভান্তরে একটি প্রতিরোধী বল তৈরি হবে যাতে কাগজ না ছেড়ে। যে অবস্থায় আর প্রতিরোধ করতে পারবে না সেখানেই ছিড়ে যাবে। একেই বলা হয় সর্বোচ্চ শিয়ার পীড়ন। পীড়নের সুত্র অনুযায়ী জানি যে একক ক্ষেত্রফলের উপর প্রযুক্ত বলই পীড়ন । ক্ষেত্রফল তাহলে কোনটি হবে। পরেটার ক্ষেত্রে পরেটার পুরুত্ব বরা বর আর কাগজের ক্ষেত্রে একক ক্ষেত্রফল । অথা এক বর্গ মিমি বরাবর বল প্রয়োগ করে কোন পরেটা ছিড়তে যে সর্বোচ্চ বল দরকার সেটিই সেটিই শিয়ার পীড়ন। শিয়ার বল = নিউটন। শিয়ার পীড়ন = নিউটন / বর্গ মিমি।

পরিশেষে বলা যায় শিয়ার মানে "ছেড়ার জন্য"। তাই এই শব্দ না ব্যবহার করে " শিয়ার ফোর্স " বা " শিয়ার পীড়ন " বলা অধিক যুক্তি সংগত।





Contact Me 

আমাকে Social Media তে Follow করতে হলে নিচের লিংক এ Click করুন ঃ


 Facebook Profile : Click here
YouTube Chanel  : Click here
Twitter  Profile     : Click here


                 email me:  Click Here

পাজোলানা (Pazzolana)



পাজোলানা (Pazzolana)

সিভিল  ইঙ্গিনিয়ারিং এর ছাত্রহিসাবে পাজোলানা/Pazzolana নামটি ইটসিমেন্ট কংক্রিটএর গুনাগুন বিবেচনায় আমরা অনেকবার শুনি। আসলে পাজোলানা/Pazzolana জিনিসটা কি ? 

রোমানরা ও গ্রীকরা সর্বপ্রথম আবিষ্কার করে যে আগ্নেয়গিরির ছাই ও চুনাময় পাথর, বালি, চুনের সাথে পানি মিস্রিত করে মর্টার তৈরি করা হয় তাহলে সেটি অনেক শক্তিশালী ও স্থায়িত্বশীল হয় । 
রোমানরা এই আগ্নেয়গিরির ছাই ও চুনাময় পাথর ইতালির ভিসুভিয়াস পর্বতের পাশের একটি গ্রাম পাজোলি থেকে সংগ্রহ করত । এই আগ্নেয়গিরির ছাই ও চুনাময় পাথরের মধ্যে প্রাকৃতিক সিলিকা পাওয়া যায় এবং পাজোলি থেকে সংগ্রহ করা তাই এর নাম পাজোলানা/Pazzolana হয় । 
কিন্তু পরবর্তীতে পাজোলানা/Pazzolana বলতে প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম ওই সকল উপাদান কে বুঝায় যার কেমিক্যাল কম্পজিশন আগ্নেয়গিরির ছাই ও চুনাময় পাথর এর মত পাজোলি গ্রামে পাওয়া যায় ।



Contact Me 

আমাকে Social Media তে Follow করতে হলে নিচের লিংক এ Click করুন ঃ


 Facebook Profile : Click here
YouTube Chanel    :  Click here
Twitter  Profile     : Click here



              email me:   Click Here

বিল্ডিং এর ড্রয়িং এর শিট এর উৎস


বিল্ডিং এর ড্রয়িং এর শিট এর উ 



আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন যে একটি বিল্ডিং কে আমরা কিভাবে ভিউজুয়ালাইজ করব বা চিত্রের সাথে সমন্বয় করব। ছবিটি তাদের জন্য । অর্থা ড্রইং শীট কোনটা কোথা থেকে আসে তার ধারনা ।








চিত্রঃ বিল্ডিং এর ড্রয়িং 

Contact Me 

আমাকে Social Media তে Follow করতে হলে নিচের লিংক এ Click করুন ঃ


 Facebook Profile : Click here
YouTube Chanel  : Click here
Twitter  Profile     : Click here


প্রোজেক্ট প্লানিং ও ডিজাইন প্রসেস এর বিভিন্ন সদস্যদের ভুমিকা


প্রোজেক্ট প্লানিং ও ডিজাইন প্রসেস এর বিভিন্ন সদস্যদের ভুমিকা

কোন প্রোজেক্ট প্লানিং ও ডিজাইন প্রসেস এ তিন ধরনের চরিত্র থাকে।সিভিল ইঙ্গিনিয়ারিং এর ছাত্র হিসাবে এই তিন চরিত্রের সাথে আমরা পরিচিত ।

০১. আর্কিটেক্ট

০২. স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ার
০৩. এস্টিমেটর বা কোয়ান্টিটি সার্ভেয়ের ।

কোন প্রোজেক্ট প্লানিং ও ডিজাইন এ প্রত্যেকের কাজ সম্মন্ধে আমরা একটু জেনে নেই .


আর্কিটেক্টঃ আর্কিটেক্ট হলেন একটি প্রোজেক্ট এর নির্দিষ্ট অবস্থা লক্ষ্য করে ও পরিবেশ গত মান যেমন  আলোর অবস্থা শব্দ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় ডিজাইনের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি । আর্কিটেক্ট কাজ শুরু করেন ক্লাইন্টের ব্রিফিং থেকে ।


স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারঃ স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ার হলেন কোন প্রজেক্টের দায়িত্তপ্রাপ্ত সেই ব্যক্তি যিনি নিশ্চিত করেন কোন অবকাঠামোর উপর আগত সকল ধরনের লোড এবং এর ফলে অবকাঠামোতে ডিফ্লেকশন ও ক্র্যাক অবকাঠামো জেন প্রতিরোধ করতে পারে ।

এস্টিমেটর বা কোয়ান্টিটি সার্ভেয়েরঃ এস্টিমেটর বা কোয়ান্টিটি সার্ভেয়ের হলেন কোন প্রজেক্টের দায়িত্তপ্রাপ্ত সেই ব্যক্তি যিনি প্রোজেক্টের যে কাজ গুলো হবে তার পরিমান ও মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন ।

তাই সহজ ভাষায় যদি বলতে চাই
* আর্কিটেক্ট ঠিক করেন প্রজেক্টি কিভাবে দেখতে সুন্দর ও ব্যবহার করতে পূর্ণ সুবিধাপাওয়া যায়।
* স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ার ঠিক করেন কিভাব অবকাঠামো টি দাড়িয়ে থাকবে ।
* এস্টিমেটর বা কোয়ান্টিটি সার্ভেয়ের নির্ধারণ করেন সবচেয়ে কম খরচে কিভাবে প্রোজেক্ট টি নির্মাণ করা যায়। 


Contact Me 

আমাকে Social Media তে Follow করতে হলে নিচের লিংক এ Click করুন ঃ


 Facebook Profile : Click here
YouTube Chanel  : Click here
Twitter  Profile     : Click here

                 email me:  Click Here